Authority Aid Learning Platform

নিস সাইট প্ল্যান গাইডলাইন এ টু জেড

বর্তমান সময়ে এসে নিস সাইটের যে ফর্ম দাঁড়িয়েছে সেটা ভয়ংকর না হলেও কঠিন তাতে কোনোও সন্দেহ নেই। সুতরাং নিস সাইট ব্যাপারটা আসলে কোনো আবেগের বিষয় না, এটা একটা বিজনেস। আর একটা বিজনেস তখনই সাকসেসফুল হয় যখন সেটা সঠিক প্ল্যান অনুযায়ি করা হয়।

এবং সবসময়েই একটা বিজনেসের “প্ল্যান-বি” থাকতে হয়, থাকে। কিন্তু আমরা এই প্ল্যানে কোনো সেকেন্ড থট রাখছি না। কারণ, এই প্ল্যান অনুযায়ি কাজ করলে সাকসেস ইনশাআল্লাহ হবে।

দ্বিতীয়ত, প্ল্যানটা আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই শেয়ার করছি। প্লিজ নোট, নিজের “অভিজ্ঞতা” বলেছি, নিজের বানানো প্ল্যান নয়। ইউনিক না। অর্থাৎ এগুলো আসলে কমন। একেবারেই অ্যাজ-ইজ্যুয়াল। আপনি যদি সময় নষ্ট করতে না চান, তাহলে অনুরোধ করবো বাকী লেখাটুকু আর না পড়ে এখানেই থেমে যান।

কারণ আমি এখানে গতানুগতিক গদবাধা কিছু ব্যাপারই ক্যাচক্যাচ করবো। সুতরাং এগুলো মাত্র এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করেছেন বা করবেন যারা ভাবছেন, মূলত তাদের জন্যই ভালো কাজ করবে। আমি নিউবি, লিখিও নিউবিদের জন্য। এক্সপার্টদের জায়গা এখানে নেই… মুহাহাহাহাহা!!!

প্ল্যানে কি কি থাকবে?

এনিওয়ে, কথা আর না বাড়িয়ে চলুন আমরা বরং মূল লেখায় ঢুকে যাই। আমি একটা খসড়া করেছি মেইন পয়েন্টগুলোর। সেগুলোকেই এক্সপান্ড করে নিজের মাথাকে পুজি করে এখন লিখে যাবো একটানা। তবে শুরুতেই সেই লিস্টটা এক নজর দেখে নেয়া যাক:

অন-পেজ এসইওঅফ-পেজ এসইও
নিস আইডিয়া জেনারেশনসোশ্যাল প্রোফাইল
ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনাসোশ্যাল শেয়ার
কীওয়ার্ড এবং কমপিটিটর রিসার্চব্লগ কমেন্ট
ওয়েবসাইট ডিজাইনফোরাম প্রোফাইল
আর্টিক্যাল প্ল্যানঅথোরিটি প্রোফাইল
আর্টিক্যাল ইনস্ট্রাকশন রেডি এবং অর্ডারঅথোরিটি ওয়েবসাইট পোস্ট
আর্টিক্যাল পাবলিশ উইদ প্রোপার স্ট্রাকচারওয়েব ২.০
প্রোপার সিলো স্ট্রাকচার বিল্ডআপগেস্টপোস্ট
অনপেজের খুটিনাটি পারফেকশনএডিটস লিংক
রেগুলার কনটেন্ট আপডেট এবং এডসিক্রেট লিংকস
ওয়েবসাইট মেইটেন্যান্সঅন্যান্য

কমন ব্যাপার-স্যাপার

উপরে যে লিস্ট দেখলেন এটা হচ্ছে শুধুই একটা লিস্ট। আমার বিশ্বাস নিস সাইট নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের প্রত্যেকের কাছেই এই লিস্ট আছে। কিন্তু হয়তো গুছিয়ে নেই। যেমন বেসিক এসইও আপনারা সবাই জানেন। তেমনি গেস্টপোস্ট ব্যাপারগুলো আপনাদের জানা আছে। তাই না?

আচ্ছা যাহোক, আমাদের মূল্য ব্যাপার এটা নয়। আমাদের মূল ব্যাপার হচ্ছে একটা প্ল্যান। একটা নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমে বন্দি করা বা লিস্ট করা এক প্ল্যান, সাজানো-গোছানো। সেটাই এখানে বর্ণনা করা হবে।

আমাদের বোঝার সুবিধার্থে উপরে আমাদের টোটাল কাজটাকে দুই ভাগে ভাগ করে নিয়েছি:

  • অন-পেজ এসইও এবং
  • অফ-পেজ এসইও

এই দুই ভাগকে কেন্দ্র করেই আমাদের পুরো লেখাটা আবর্তিত হবে।

একটা সুনির্দিষ্ট টাইমফ্রেম

আমার কাছে মনে হয় এই টাইমফ্রেমটাই আসল। অর্থাৎ কোন সময়ে ঠিক কোন কাজটা করবেন সেটার লাগাম যদি নিজের হাতে থাকে তাহলে সাকসেসের পরিমাণটা অনেক বেড়ে যায়। এটা এমন একটা ব্যাপার যেটা কিনা আপনার নিজেকেই সাজাতে হবে। তবে আপনি যদি ফুলটাইম মার্কেটার হয়ে থাকেন, তাহলে সেটা ভিন্ন কথা। কিংবা আপনার যদি যথেষ্ট সময় থাকে তাহলেও ঠিক আছে। গত মাসে আমি কয়েকটা রেডিমেইড নিস সাইট সেল করেছিলাম। তখন প্রত্যেকের সাথেই আমি আলাদা করে কথা বলেছি এটা বোঝার জন্য যে, আসলে তারা কতটা ডেডিকেটেড এবং তাদের কতটা সময় আসলে আছে কাজ করার।

কারণ নিস সাইট এমন একটা ব্যাপার, যেখানে আসলে শুধুমাত্র অর্থ ইনভেস্ট করেই সাকসেস পাওয়া সম্ভব নয়। ডেডিকেটেডলি এখানে লেগে থাকার বিষয়। তো এই ব্যাপারটাই আসলে প্ল্যানের সাথে জড়িত।

ব্যক্তিগতভাবে আমার ক্লায়েন্টকে যে সার্ভিস প্রোভাইড করি, সেখানে আমার মূল প্রেডাক্টই হচ্ছে এই নিস সাইট প্ল্যানিং সার্ভিস। আমি যেহেতু ফিল্মের ছাত্র, তাই বলতে হচ্ছে- একটা ফিল্ম বানানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে- প্রি-প্রোডাকশন। এই প্রি-প্রোডাকশন যতো ভালো হয়, ফিল্মের কাজটা ততো সুন্দর, ততো দ্রুত এবং সবচেয়ে কম কস্টে করা সম্ভব হয়। সুনামখ্যাত মুভি ডিরেক্টর আলফ্রেড হিচককের মতে- তিনি তার ফিল্মের ৭০% কাজ সম্পাদন করেন শুধুমাত্র প্রি-প্রোডাকশন-এর মাধ্যমে। সুতরাং প্রি-প্রোডাকশনের গুরুত্বটা বুঝতেই পারছেন।

নিস সাইট প্ল্যানিং বিষয়টাও ঠিক তেমনি- ফিল্মের প্রি-প্রোডাকশন যেমন। আপনি প্ল্যানিংটা যতো সুন্দরভাবে করতে পারবেন, আপনার কাজ আসলে ততো সহজ হয়ে যাবে। খরচও তুলনামূলক কম হবে। কাজের মাঝখানে আপনি খেইও হারিয়ে ফেলবেন না। এজন্য প্ল্যানিংটা আসলে জরুরি। তো আজকে আমরা এই জরুরি কাজটাই করতে যাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ।

নোট: প্ল্যানিংয়ে আসলে কীওয়ার্ড রিসার্চ বা কমপিটিটর রিসার্চ টাইপ কাজ কীভাবে করবেন সেটা উল্লেখ থাকে না। প্ল্যানিংয়ের মানে হচ্ছে- আপনি কাজগুলো ধাপে ধাপে কীভাবে করবেন সেই পথটা বাতলে দেয়া। সেই পথটার একটা লাইনআপ। কীওয়ার্ড রিসার্চ বা অন্যান্য কাজগুলো নিয়ে আমার আলাদা আর্টিক্যাল আছে বা ভবিষ্যতে লিখবো, ইনশাআল্লাহ।

তো এই লেখায় আমি সেই লাইনআপটাই লিখবো। আশা করি এটা পড়ার শেষে আপনিও স্বীকার করবেন এর গুরুত্বটা অপরিসীম। উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে গুগল কোনো সাইটকেই অর্গানিকভাবে রাতারাতি র‌্যাংক দেয় না। বরং কেউ ডেসপারেটলি ব্যাকলিংক করে সাইট দ্রুত র‌্যাংক করতে চাইলে হীতে বিপরীত হয়- সাইট পেনাল্টি খায়। তাই এখন অফপেজের কাজগুলো করতে হয় ধীরে-সুস্থ্যে।

এসব কথা চিন্তা করেই একটা নিস সাইটের প্ল্যানিংয়ে তাই কম-বেশি ১২-১৫ মাসের একটা প্ল্যান করা হয়। এর কমে সাধারণত সম্ভব হয় না। এর বেশি না হলেও হয়। তবে মোটামুটি দুই বছরের একটা প্ল্যান নিয়ে কাজ করলে সবচেয়ে ভালো। কিন্তু পনেরো মাস এনাফ। সুতরাং আমাদের এই প্ল্যানটা হবে পনেরো মাসের।

অর্থাৎ ১৫ মাসে একটা নিস সাইট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কীভাবে সম্পাদন করা হবে সেটাই থাকবে আজকের এই লেখায়- ধাপে ধাপে। টাইমলাইনটা এখন আমরা সাজিয়ে নেবো। তবে শুরুতে টাইম লাইনের বিষয়সমূহ আমি সংক্ষেপে বর্ণনা করে যাবো। তারপর কোনটার জন্য কতটুকু সময় বরাদ্দ করবেন সেটা টাইমলাইন আকারে দিয়ে দেবো। সেগুলো আপনারা চাইলে এক্সেল শীটে সাজিয়ে নিতে পারবেন।

উল্লেখ্য, আমাদের পুরো কাজগুলো আমরা দুই ভাগে ভাগ করে নিয়েছি। যথা:-

  • অন-পেজ ধাপ
  • অফ-পেজ ধাপ।

নিস সাইট অন-পেজ ধাপসমূহ

উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, আমাদের প্ল্যানে আমরা পনেরো মাস সময় বরাদ্দ করছি। তো এই ১৫ মাসে আমাদের কাজগুলো কীভাবে করবো সেটাই এখানে লিপিবদ্ধ করা হবে। প্রথমে অন-পেজ কাজগুলো ধাপ সম্পর্কে একটা ধারণা দেয়া যাক সংক্ষেপে।

প্রথম ধাপ: নিস আইডিয়া + ডোমেইন-হোস্টিং কেনা

একটা নিস সাইট সুন্দরভাবে করার জন্য প্রথমেই যেটা দরকার সেটা হচ্ছে- একটা সুন্দর নিস খোঁজে বের করা। বহুল পরিচিত এবং ব্যবহৃত কোনো নিস না। এফিলিয়েট মার্কেটে এক্সপার্টদের মতে এখনও অনেক নিস রয়ে গেছে যেটা কিনা মার্কেটারদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

আমরা যারা মার্কেটে নতুন, তথা #নিউবি, তাদের অবশ্য এসব কথা বিশ্বাস হয় না। কারণ আমরা এমন কিছু খোঁজে পাই না, যেটা নিয়ে কিনা নিস সাইট করা হয়নি। তাহলে কি এক্সপার্ট এফিলিয়েট মার্কেটাররা ভুল কথা বলছেন?

না। তারা ভুল বলছেন না। আমার লেখা অথোরিটি এইড ব্লুপ্রিন্ট ই-বুকে আমি বিস্তারিত লিখেছি, কীভাবে কম ব্যবহৃত নিস খোঁজে বের করবেন। আপনি যদি ঐ ই-বুকটা পড়ে থাকেন তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন কীভাবে সেই কাজটা করবেন।

যাহোক, নিস সিলেকশন আসলে অনেক সময় সাপেক্ষ একটা কাজ। বিশেষ করে স্বল্প বা আন টাচ নিস খোঁজে বের করা আসলেই টাফ কাজ একটা। তাই এখানে আপনি একটা কাজ করতে পারেন- স্বল্প টাচ নিস নিয়েও কাজ করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে কীওয়ার্ড রিসার্চে আপনাকে অনেক সময় দিতে হবে লো-কমপিটিটিভ কীওয়ার্ড খোঁজে বের করার জন্য।

নিস ঠিক হলে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে ফেলবেন। এতে করে ডোমেইনের এইজ বাড়বে। আর যদি নিস আপনার সুনির্দিষ্ট করা থাকে তাহলে এখানে সময় না নষ্ট করে পরবর্তী ধাপে চলে যান। ডোমেইন চুজ করার আগে অবশ্যই আমার এই ভিডিও টিউটোরিয়ালটা দেখে নেবেন। তাহলে কীভাবে, কীরকম ডোমেইন চুজ করবেন সেটা সহজেই বুঝতে পারবেন আশা করি। সেই সাথে ভুল ডোমেইন চুজ করা থেকে বেঁচে যাবেন।

আর হোস্টিং নিয়ে আমার নিজস্ব মতামত আছে। একটা সময় ছিলো যখন আমি নেমচিপ হোস্টিংয়ের ভক্ত ছিলাম। কিন্তু লাস্ট ইয়ারে তাদের ব্ল্যাক ফ্রাইডে এবং সাইবার মানডে অফার দেখার পর আমি কঠিনভাবে মানা করে আসছি নেমচিপের হোস্টিং কেনার জন্য। বর্তমানে তারা প্রায় একেকটা সার্ভারে তিন চার হাজার করে সাইট হোস্ট করে। ফলে ৫০৩ সার্ভার এরর লেগেই আছে সারাক্ষণ। আর ডাউনটাইমের ব্যাপার নাইবা বললাম। প্যারাসিটামল দুইবেলা খাওয়ার মতো করে এখন তাদের সার্ভার ডাউন হয়। এই ডাউনটাইমের কারণে কীওয়ার্ড র‌্যাংকিংয়ে বিরাট প্রভাব পড়ে। এটা অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে।

এই সবকিছু ভেবেই আমি হোস্টিংয়ের ব্যাপারে এখন সচেতন। আমার অভিজ্ঞতার আলোকে আমি হোস্টিং রিভিউ লিখেছি- নিস সাইটের জন্য হোস্টিং সলিউশন। পড়ে দেখতে পারেন। কিংবা নিম্নের ভিডিওটা দেখে নিতে পারেন:

দ্বিতীয় ধাপ: কীওয়ার্ড এবং কমপিটিটর রিসার্চ

নিস সিলেকশন ওকে। ডোমেইন এবং হোস্টিংও কেনা হয়ে গেছে। এখন আমরা দ্বিতীয় ধাপে ইন করতে যাচ্ছি। সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল এবং পরিশ্রমের কাজ হচ্ছে কীওয়ার্ড এবং কমপিটিটর রিসার্চ। এখানে সামান্য ভুল হলে আপনার নিস সাইট সাকসেসের মুখ দেখবে বলে মনে হয় না।

পারসোনালি আমি লো সার্চ ভলিউম এবং লো কমপিটিটর কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করি। কীভাবে এরকম কীওয়ার্ড খোঁজে পাবেন তা নিয়ে আমার ই-বুকে ডিটেইলস বলেছি। যদি পড়ে থাকেন, তাহলে সেটা জানার কথা।

কিন্তু যাইহোক, এখানে পুরো একটা মাস সময় দেবেন। এবং প্রতিদিন অন্তত দুই ঘণ্টা সময় ব্যয় করবেন। এভাবে যদি কীওয়ার্ড রিসার্চে একমাস সময় দেন, তাহলে অবশ্যই ভালো কিছু কীওয়ার্ড পাবেন। আমি পরামর্শ দেবো- প্রথমে মানি কীওয়ার্ড এবং পরে সেগুলোর প্রেক্ষিতে ইনফরমেটিভ কীওয়ার্ড খুঁজবেন।

তৃতীয় ধাপ: আর্টিক্যাল প্ল্যান, ইনস্ট্রাকশন রেডি এবং অর্ডার

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যেহেতু কীওয়ার্ড ফাইনাল হয়ে গেছে, তাই আর্টিক্যাল প্ল্যানটা করে ফেলবেন। প্ল্যানে থাকবে কোন কীওয়ার্ড কীভাবে ইউজ করবেন, কতগুলো আর্টিক্যাল সাইটে দেবেন, কীভাবে সিলো স্ট্রাকচার করবেন ইত্যাদি।

এটা করা হয়ে গেলে আর্টিক্যালের ইনস্ট্রাকশন রেডি করবেন। ইনস্ট্রাকশন রেডি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে। যে টপিকে লিখতে দেবেন রাইটারকে সেই টপিক নিয়ে আপনাকে প্রচুর রিসার্চ করতে হবে, পড়তে হবে। তাহলে আপনি সহজেই ধরতে পারবেন আপনার কমপিটিটরের সাইটে কী নাই আর আপনার সাইটে কী দিতে হবে এক্সট্রা। এটা খুবই জরুরি/গুরুত্বপূর্ণ।

তারপর মানি আর্টিক্যালের জন্য আমাজনের প্রোডাক্ট সিলেকশন আরেকটা জরুরি। আপনার মানি আর্টিক্যালে আপনি কতগুলো প্রোডাক্ট রিভিউ দেবেন সেটা আপনাকেই স্থির করতে হবে। মিনিমাম তিনটা এবং ম্যাক্সিমাম ১০টা প্রোডাক্ট আমাজন থেকে চুজ করে নেয়া ভালো। সেগুলোও ইনস্ট্রাকশনে আপনাকে এড করে দিতে হবে।

এভাবে প্রথমে বেশ কয়েকটি মানি আর্টিক্যালের ইনস্ট্রাকশন রেডি হলে রাইটারকে অর্ডার করে দেবেন। তারপর বাকীগুলোর ইনস্ট্রাকশনও রেডি করে নিতে হবে এই সময়ের মধ্যে। এই সময় প্রচুর সার্ফিং করতে হবে এবং আপনার নিসে এক্সপার্ট হয়ে যেতে হবে আপনাকে। যেন রাইটার ভুল ইনফো দিলেও চট করে ধরে ফেলতে পারেন।

চতুর্থ ধাপ: ওয়েবসাইট ডিজাইন

যেহেতু ওয়েবসাইট তৈরি করা হবে সিএমএস ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে, তাই এখানে সহজেই কাজ করা যায়। কোডিং না জানা লোকজনও এই খাতে কাজ করতে পারেন। সুতরাং ওয়েবসাইট ডিজাইন করা কঠিন কিছু না। ওয়েবসাইট ডিজাইনের জন্য মোটামুটি সাত দিন সময় দিলেই সুন্দর একটা নিস সাইট বানিয়ে ফেলতে পারবেন।

আমি আমার বেশিরভাগ সাইটে জেনেসিস ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করি। এছাড়াও জেনারেট প্রেস দিয়েও আমার সাইট আছে। খুব সম্ভবত একটা বা দুইটা অনেক পুরনো সাইটে থ্রাইভ থিম আছে। সময়ের অভাবে সেগুলো থ্রাইভে রয়ে গেছে। থ্রাইভে অনেক জটিলতার কারণে অনেক আগেই থ্রাইভ থেকে সরে এসেছি। সুতরাং আমার রিকমেন্ডশন হচ্ছে জেনেসিস বা জেনারেট প্রেস। এই থিমগুলো দিয়ে সাইট ডিজাইন করাও খুব ইজি।

আর ভুলে গেলে চলবে না, নিস সাইট সবসময় নিট এন্ড ক্লিন রাখবেন। অবশ্যই লাইটওয়েট। সেটার জন্য অবশ্য ধীরে ধীরে কাজ করতে হবে। সাইটে মোটামুটি ৭০% আর্টিক্যাল দেয়া হয়ে গেলে সাইট ডিজাইনের দ্বিতীয় ধাপে বসবেন। তখন সাইটের খুটিনাটি বিষয়, স্পীড, রেসপনসিভ, এইচটিএমএল এরর ফিক্সিং… ইত্যাদি বিষয়গুলো দেখবেন।

পঞ্চম ধাপ: আর্টিক্যাল পাবলিশ উইদ প্রোপার স্ট্রাকচার

সাইটে আর্টিক্যাল পাবলিশ করা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার তাই ধৈর্য্য নিয়ে আস্তে আস্তে করতে হয়। আর্টিক্যাল হাতে পাওয়ার পর প্রথমে একটু পড়বেন। যদি দেখেন সুখপাঠ্য তাহলে পুরো আর্টিক্যালটা এক নজর দেখে নিয়ে কপিস্কেপ প্রিমিয়াম দিয়ে চেক করে নেবেন। যদি দেখেন প্লাজিয়ারাইজড না, তখন প্রতিটা লাইন পড়বেন ধীরে ধীরে। যদি কোনো কারেকশন থাকে তাহলে রিভিশন পাঠাবেন রাইটারকে ঠিক করে দেয়ার জন্য। গ্রামারলি দিয়ে গ্রামার ওকে আছে কিনা দেখে নেবেন। তবে গ্রামারলির উপর পুরোপুরি নির্ভর করার কিছু নেই। প্রাথমিকভাবে গ্রামারলি ফ্রি অপশনটা চুজ করতে পারেন। পরে প্রয়োজন হলে প্রিমিয়ামে মুভ করবেন।

রাইটার যতো পরিচিত, রিলায়েবল এবং ভালো-ই হোক না কেন, প্রতিটি আর্টিক্যাল-ই চেক করে নেবেন প্রোপারলি। তো এভাবে লাইন বাই লাইন চেক করার পর যদি দেখেন ঠিক আছে তাহলে সেটা সাইটে পাবলিশ করবেন। পাবলিশ করার সময়ও সময় নিয়ে প্রতিটা লাইন পড়বেন। যেমন দুই ওয়ার্ডের মধ্যে ডাবল স্পেস থাকলেও সেটা যেন ধরতে পারেন এবং কারেকশন করতে পারেন সেটা দেখবেন। কোনো লাইনে ফুলস্টপের পর একটা বা দুইটা স্পেস থাকে অতিরিক্ত সেগুলো রিমুভ করবেন। এইচ-ট্যাগ ভালো করে ব্যবহার করবেন। প্রয়োজনীয় ইমেজ দেবেন আর্টিক্যালে। বড় প্যারাগ্রাফগুলো ভেঙে ছোট করে দেবেন।

এভাবে যতো কাজ করতে পারবেন সেটাই হবে আপনার জন্য পারফেক্ট। বিশেষ করে মানি আর্টিক্যালগুলোর ক্ষেত্রে সহজবোধ্য শব্দ, ছোট প্যারাগ্রাফযু্ক্ত আর্টিক্যাল অনেক জরুরি। এই বিষয়টাতে আপনাকে সময় দিতে হবে।

নোট: আর্টিক্যাল কম দামী নেবেন নাকি বেশি দামী নেবেন কিংবা দেশী রাইটার নেবেন নাকি বিদেশী রাইটার নেবেন অথবা নেটিভ রাইটার প্রয়োজন সেটা আসলে আপেক্ষিক। কোনোটাই ম্যান্ডাটরি না। ম্যান্ডাটরি বিষয় হলো আপনাকে মানসম্মত আর্টিক্যাল ম্যানেজ করতে হবে।

ষষ্ঠ ধাপ: প্রোপার সিলো স্ট্রাকচার বিল্ডআপ

প্রাইমারি আর্টিক্যাল পাবলিশ হয়ে গেলে ক্যাটাগরিওয়াইজড একটা সিলো স্ট্রাকচার বিল্ডআপ করে ফেলবেন। এটা আমার কাছে জরুরি মনে হয়। সিলো স্ট্রাকচারের সংজ্ঞা সহজ বাংলায় বললে হবে এরকম: সিমিলার ক্যাটাগরির আর্টিক্যালগুলোকে ইন্টারলিংকিংয়ের মাধ্যমে একটা বন্ধন তৈরি করা। এটা একেকজন একেকভাবে করে থাকেন। আমি আমার সাইটে যেভাবে করি সেটার একটা গাইডলাইন দিলাম একটা স্ট্রাকচারের মাধ্যমে।

নিম্নের সিলো স্ট্রাকচার মডেলটি খেয়াল করুন। এখানে মানি আর্টিক্যাল এবং ইনফো আর্টিক্যালের রেশিও দেখানো হয়েছে ২৫% :: ৭৫%। আপনি চাইলে এটাকে ৫০% পর্যন্ত করতে পারেন।

সিলো স্ট্রাকচার

তো যে বিষয়টা খেয়াল করবেন সেটা হচ্ছে- ইন্টারলিংক করবেন ইনফো আর্টিক্যাল থেকে মানি আর্টিক্যালে। তাহলে মানি আর্টিক্যালের স্ট্রেংথ বাড়বে। পাওয়ার বেশি হবে। কিন্তু পারতপক্ষে মানি আর্টিক্যাল থেকে ইনফো আর্টিক্যালে ইন্টারলিংক করবেন না। যদি করতেই হয়, তাহলে সর্বোচ্চ একটা করবেন এবং সর্বোচ্চ রিলিভেন্সি বজায় রেখে।

আর আমার দৃষ্টিতে নিম্নে একটা ভুল সিলো স্ট্রাকচারের ইমেজ দেয়া হলো। এটা আমাজন এফিলিয়েট বাংলাদেশ গ্রুপে একজন পোস্ট করে জানতে চেয়েছিলেন এই সিলো স্ট্রাকচারটা ভুল নাকি ঠিক আছে। আমি ওখানেও বলেছি, এখানেও বলছি: নিম্নের স্ক্রিনশটে দেয়া সিলো স্ট্রাকচারটি আমার দৃষ্টিতে ভুল।

সপ্তম ধাপ: অনপেজের খুটিনাটি পারফেকশন

এই ধাপে অনেক ছোট ছোট কাজ থাকে। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ কাজ হচ্ছে দু’টো:

  • ইয়োস্ট প্লাগিনের সঠিক সেটিংস
  • সাইটের স্পীড অপটিমাইজেশন করা

এই দু’টো ব্যাপার ঠিকভাবে করতে পারলে সাইটের অগ্রগতি অনেক দূর এগিয়ে যায়। এছাড়াও ইন্টারলিংক তথা সিলো স্ট্রাকচার ভালোভাবে চেক করবেন। হয়তো কোনো একটা ভুল রয়ে গেছে। আরও ঠিক করতে হবে ইমেজের অল্টার ট্যাগ, কোনো ডেডলিংক ভুলে করা হয়েছে কিনা? এইচ-ট্যাগ ঠিকভাবে মেইনটেইন করা হয়েছে কিনা এটা দেখাও জরুরি।

অষ্টম ধাপ: রেগুলার কনটেন্ট আপডেট এবং এড

এই ধাপটি একটি অনগোয়িং প্রসেস। সো এটাকে নির্দিষ্ট কোনো ধাপ বলা যাবে না। অর্থাৎ, এই ধাপের মানে হচ্ছে আপনার কাজ মোটামুটি কমপ্লিট। এখন সাইটের কন্টিনিউটি ধরে রাখার জন্য সাইটে রেগুলার কনটেন্ট দিতে হবে কিংবা পুরনো কনটেন্টগুলো আপডেট করতে হবে। কিংবা দু’টোই করতে পারেন। উল্লেখ্য, সাইটে নতুন কনটেন্ট দেয়া এবং পুরনো কনটেন্ট আপডেট করার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য এতোটুকু আছে যে, পুরনো কনটেন্ট আপডেট রেগুলার করলে নতুন কনটেন্ট না দিলেও হবে কিন্তু নতুন কনটেন্ট সাইটে দিলেও পুরনোগুলো আপডেট করতে হবে।

নবম ধাপ: ওয়েবসাইট মেইটেন্যান্স

এটাও অষ্টম ধাপের মতো একটা কাজ। কন্টিনিউ করতে হয় সাইট যতোদনি থাকে। গুগলের রেগুলার আপডেট পড়া, সেই অনুযায়ী সাইটে পরিবর্তন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন… ইত্যাদি ঠিকভাবে করা এই ধাপের প্রধানতম কাজ। এই বিষয়গুলোই এখানে থাকছে। এছাড়াও হোস্টিংয়ের প্রবলেম আছে কিনা, রেগুলার আপটাইম চেক করা, প্রোডাক্টগুলো আমাজনে এভেইলবেল কিনা… এগুলোও সাইট মেইনটেন্যান্সের অন্তর্ভুক্ত। আপনার সাইট যদি রেগুলার ডাউনটাইমে থাকে সেটাও কিন্তু গুগলের র‌্যাংকে প্রভাব পড়ে। সুতরাং এই বিষয়টাও জরুরি।

নিস সাইট অফ-পেজ ধাপসমূহ

নিস সাইট অফ-পেজ ধাপসমূহ

এবার আমরা আলাপ করবো একটা নিস সাইটের অফপেজ ধাপসমূহ নিয়ে। অফ-পেজ মানে আমরা সবাই জানি। অর্থাৎ একটা সাইটের বাইরে ঐ সাইটের জন্য যেসব কাজ করা লাগে সেগুলো হচ্ছে অফ-পেজ এসইও।

আমাদের প্ল্যানে আমরা যেসব অফপেজের কাজ রেখেছি সেগুলো সংক্ষেপে আলাপ করবো। তারপর আমরা নিস সাইটের মূল প্ল্যানিং “টাইমলাইন”টা নিয়ে বসবো, ইনশাআল্লাহ।

প্রথম ধাপ: বেসিক লিংক বিল্ডিং

প্রথম ধাপটা তখনই শুরু করবো যখন সাইটের অনপেজের কাজগুলো মোটামুটি কমপ্লিট। এখানে অন-পেজের প্রথম সাতটা ধাপের কথা বলা হচ্ছে। যখন অন-পেজের প্রথম সাতটা ধাপ কমপ্লিট হয়ে যাবে, তখনই আমরা বেসিক লিংক বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে অফ-পেজের কাজ শুরু করবো। অফ-পেজে থাকছে:

  • সোশ্যাল প্রোফাইল
  • সোশ্যাল শেয়ার
  • ব্লগ কমেন্ট
  • ফোরাম প্রোফাইল
  • অথোরিটি প্রোফাইল
  • অথোরিটি ওয়েবসাইট পোস্ট
  • ওয়েব ২.০

বেসিক লিংক বিল্ডিং নিয়ে আমার একটা দীর্ঘ পোস্ট আছে। তাই এখানে আর সেগুলো নিয়ে লিখছি না। সময় করে ওটা পড়ে নিলেই আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন। লেখাটা পড়তে এখানে দেখুন: বেসিক লিংক বিল্ডিং গাইডলাইন এ টু জেড। সুতরাং এই ধাপে আমরা সময় নষ্ট না করে দ্বিতীয় ধাপে মুভ করছি।

দ্বিতীয় ধাপ: গেস্টপোস্ট এবং এডিট লিংকস

এই ধাপে আলাপ করা হবে গেস্টপোস্ট এবং এডিট লিংকস নিয়ে। যদিও গেস্টপোস্ট নিয়ে এখানে একাধিক পোস্ট আছে। সময় করে সেগুলোও পড়ে নেয়ার আমন্ত্রণ। তাই আর এখানে নতুন করে গেস্টপোস্ট নিয়ে কিছু লিখছি না। এডিট লিংকস নিয়ে হালকা ধারণা দিচ্ছি। তবে গেস্টপোস্ট অধ্যায়ে আমি এডিট লিংকস নিয়েও বর্ণনা করেছি।

এডিট লিংকসটা হলো- এক্সিসটিং একটা পোস্ট থেকে লিংক নেয়। একেবারে সহজ করে বললাম। এই পদ্ধতি ফলো করার জন্য আপনি খোঁজে বের করবেন আপনার মানি আর্টিক্যালের রিলেটেড ইনফো আর্টিক্যাল। তারপর সাইট অউনারকে অফার করবেন আপনার আর্টিক্যালটি ঐ পোস্টে লিংক করার জন্য কারণ আপনারটা বেশি ইনফরমেটিভ এবং ভ্যালুয়েবল। এডিট লিংকস কখনও কখনও টাকার বিনিময়েও পাওয়া যায়। এডিট লিংকসকে অনেকে কিউরেটেড লিংকস হিসেবেও জানে।

তৃতীয় ধাপ: সিক্রেট লিংকস এবং অন্যান্য

সত্যি কথা বলতে কি, সিক্রেট লিংকস বলতে কোনো ধাপ নেই। এটা এমন একটা পদ্ধতি যেটার মাধ্যমে আপনি আপনার কমপিটিটরের লিংক সোর্সগুলো খোঁজে বের করবেন এবং দেখবেন সে যেখান থেকে লিংক নিয়েছে সেগুলোর অনেকগুলোই আপনার জন্য সহজ। আর সে যেহেতু নিতে পেরেছে সুতরাং আপনিও নিতে পারবেন। তো এভাবে চেষ্টা করে লিংক নেয়ার কথাটাই আমি এভাবে এখানে সিক্রেট লিংকস বলেছি। আপনি হয়তো নিজের অউন ওয়েতে আরও এরকম সোর্স বের করতে পারেন লিংকবিল্ডিংয়ের জন্য। সেগুলোও ভ্যালুয়েবল।

আর অন্যান্য মানে হচ্ছে- আপনি চাইলে অফ-পেজের আরও সোর্স বের করতে পারেন। কিংবা এক্সিসটিং অন্যান্য পদ্ধতি নিয়েও কাজ করতে পারেন যেগুলোর কথা আমি এখানে বলিনি। যেমন: স্কাইস্ক্র্যাপার লিংক বিল্ডিং, উইকি লিংকস, রাউন্ডআপ লিংক বিল্ডিং… ইত্যাদি ইত্যাদি।

নিস সাইট প্ল্যান: টাইমলাইন

এতোক্ষণ প্ল্যানিংয়ের ধাপসমূহ নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছি। এবার ধাপগুলো কাজে লাগিয়ে কিংবা ধাপগুলো সম্পাদন করার জন্য একটা টাইম ফ্রেম বেধে দেয়া হবে। এটাই হচ্ছে মূল প্ল্যানিং। এই প্ল্যান যে যতো সুন্দরভাবে করতে পারবেন, তার সাকসেসের পরিমাণ ততো বৃদ্ধি পাবে। আসুন তবে ধাপসমূহ জেনে নিই:

  • প্রথম মাস: নিস আইডিয়া জেনারেশন + ডোমেইন ও হোস্টিং কেনা + কীওয়ার্ড রিসার্চ
  • দ্বিতীয় মাস: আর্টিক্যাল ইনস্ট্রাকশন রেডি এবং অর্ডার প্লেসড + ওয়েবসাইট ডিজাইন + মিনিমাম ৪-৬টি মানি আর্টিক্যাল পাবলিশ।
  • তৃতীয় মাস: মিনিমাম ১২-১৮টি ইনফরমেটিভ আর্টিক্যাল পাবলিশ + ৫টি করে সোশ্যাল প্রোফাইল এবং অথোরিটি প্রোফাইল ক্রিয়েশন এবং হোমপেজ ব্যাকলিংক করা + গুগল ওয়েব মাস্টার সেটাপ + সাইটম্যাপ সাবমিট + গুগল এনালাইটিকস সেটাপ + কিছু সোশ্যাল শেয়ার + প্রতিদিন ২/৩টা করে ব্লগ কমেন্ট।
  • চতুর্থ মাস: রেশিও ফলো করে আরও মানি আর্টিক্যাল এবং ইনফো আর্টিক্যাল পাবলিশ + ১০টি সোশ্যাল প্রোফাইল এবং ২০টি অথোরিটি প্রোফাইল ক্রিয়েশন এবং হোমপেজ ব্যাকলিংক করা + প্রতিদিন ২/৩টা করে ব্লগ কমেন্ট।
  • পঞ্চম মাস: আর্টিক্যালগুলো আপডেট (আপডেটের কাজ প্রতিমাসে করা ভালো। বিশেষ করে মানি আর্টিক্যালগুলো) + সাইটের আর্টিক্যালগুলোর সোশ্যাল শেয়ার। উল্লেখ্য, সাইটে মোটামুটি আর্টিক্যাল দেয়া হয়ে গেলেই সোশ্যাল শেয়ার রেগুলার করতে হবে। একসাথে সবগুলো আর্টিক্যাল শেয়ার না দিয়ে নিয়ম করে প্রতিদিন অল্প অল্প শেয়ার করা ভালো + প্রতিদিন ২/৩টা করে ব্লগ কমেন্ট + ১০টা অথোরিটি সাইটে ১০টা পোস্ট করা। ভালো মানের আর্টিক্যাল হলে খুবই ভালো। এই সাইটগুলো সাধারণ সদস্যদের লেখাও ফিচার করে + চাইলে রিলেটেড কিছু ফোরাম প্রোফাইল করতে পারেন এবং ফোরামে একটিভিটি বাড়াতে পারেন, রেগুলার হলেও ভালো হয়। অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে আমি ফোরাম টাইপের লিংক পছন্দ করি না। অনেক সময় ফোরামের একটা রুট লিংক থেকে হাজার হাজার ব্যাকলিংক হয়ে যায়। যেটা কিনা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
  • ষষ্ঠ মাস: বাছাইকৃত ১০টা ওয়েব ২.০ সাইটে ১০টা ওয়েব ২.০ ব্লগ বানান। প্রতিটা ব্লগকে টায়ার টু করতে পারেন। তারপর প্রতিটা ব্লগ থেকে আপনার সাইটকে লিংক দিন। অধিকতর নিরাপদ থাকার জন্য মানি আর্টিক্যাল, ইনফো আর্টিক্যাল এবং হোমপেজকে রেশিও ধরে লিংক দিন + মূল সাইটের আর্টিক্যাল সোশ্যাল শেয়ার করতে ভুলবেন না + প্রতিদিন ২/৩টা করে ব্লগ কমেন্ট।
  • সপ্তম মাস: এই মাস থেকে গেস্টপোস্ট শুরু করতে হবে। গেস্টপোস্ট করবেন খুবই ধীরে ধীরে। প্রতিমাসে হোমপেজের জন্য ম্যাক্সিমাম ৪টা (যদি হোমপেজের জন্য গেস্টপোস্ট করেন তবেই) এবং মানি আর্টিক্যালের জন্য সর্বোচ্চ ২টা। সুতরাং প্রথম মাসে হোমপেজের জন্য ২টা এবং প্রতিটা মানি আর্টিক্যালের জন্য ১টা করে করতে পারেন + নিয়মিত সোশ্যাল শেয়ার + প্রতিদিন ২/৩টা করে ব্লগ কমেন্ট।
  • অষ্টম মাস: গেস্টপোস্ট উপরের নিয়ম অনুসারে কন্টিনিউ করুন + এডিট লিংকস এবং সিক্রেট লিংকসের জন্য চেষ্টা করতে পারেন + সোশ্যাল শেয়ার রেগুলার করুন + প্রতিদিন ২/৩টা করে ব্লগ কমেন্ট।
  • নবম মাস: প্রথম ফলোআপ- প্রথমবারের মতো সাইটের ফলোআপ লক্ষ্য করুন। অর্থাৎ গুগল ওয়েব মাস্টার টুলস, গুগল এনালাইটিকস, এরেফস… ইত্যাদি টুলস দিয়ে সাইটের অবস্থান লক্ষ্য করুন। সার্ফফক্স বা এরকম টুলস দিয়ে কীওয়ার্ডগুলোর অবস্থান মনিটর করে দেখতে পারেন কী অবস্থা। এই মনিটরিংয়ের উপর নির্ভর করেই পরবর্তী প্রদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন সাইটে আরও কী পরিমাণ আর্টিক্যাল দিতে হবে, কতগুলো গেস্টপোস্ট করতে হবে, বেসিক লিংক বিল্ডিং আর লাগবে কিনা, কীওয়ার্ড এবং আর্টিক্যালের অবস্থান কতটুকু পজিটিভ ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনার যদি এক্সিসটিং আমাজন এফিলিয়েট একাউন্ট থাকে তাহলে তৃতীয় মাসের শেষের দিকেই সাইটে এফিলিয়েট লিংক বসিয়ে দিতে পারেন। আর যদি আমাজন এফিলিয়েট একাউন্ট না থাকে তাহলে সাইটে অন্তত ৩০+ আর্টিক্যাল দিন এবং বেশিরভাগই ইনফো আর্টিক্যাল। আর তারপর সাইটে অন্তত মাসে ৫০০+ ট্রাফিক আসার জন্য অপেক্ষা করুন। তারপর আমাজন একাউন্টের জন্য আবেদন করবেন। ইনশাআল্লাহ একাউন্ট দ্রুত এপ্রুভাল পাবেন।
  • দশম মাস: গত মাসে ফলোআপ করে যে রেজাল্ট পেয়েছেন সেটার উপর ডিপেন্ড করে এই মাস থেকে কাজ শুরু করবেন। যেমন- সাইটে আর কী পরিমাণ আর্টিক্যাল লাগবে এবং গেস্টপোস্টের সংখ্যা। তবে আমার মতে, আর্টিক্যাল প্ল্যানিংয়েই আর্টিক্যাল সংখ্যাটা ঠিক করে নেয়া ভালো। সুতরাং এই মাসে সেভাবে রেশিও হিসেব করে আর্টিক্যাল পাবলিশ + ২টা গেস্টপোস্ট + এডিট লিংকস এবং সিক্রেট লিংকসের জন্য চেষ্টা করতে পারেন + সোশ্যাল শেয়ার + প্রতিদিন ২/৩টা করে ব্লগ কমেন্ট।
  • একাদশ মাস: নতুন আর্টিক্যাল পাবলিশ + গেস্টপোস্ট + এডিট লিংকস এবং সিক্রেট লিংকসের জন্য চেষ্টা করতে পারেন + সোশ্যাল শেয়ার + প্রতিদিন ২/৩টা করে ব্লগ কমেন্ট।
  • দ্বাদশ মাস: নতুন আর্টিক্যাল পাবলিশ + গেস্টপোস্ট + এডিট লিংকস এবং সিক্রেট লিংকসের জন্য চেষ্টা করতে পারেন + সোশ্যাল শেয়ার + প্রতিদিন ২/৩টা করে ব্লগ কমেন্ট।
  • ত্রয়োদশ মাস: দ্বিতীয় ফলোআপ- এই মাসের ফলোআপ থেকে সম্পূর্ণ পজিটিভ একটা রেজাল্ট আসার কথা। এই রেজাল্ট থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন সাইট আর কতদিনের মধ্যে ফ্লিপ করতে পারবেন (যদি ফ্লিপ করতে চান, তবেই আর কি।)।
  • চতুর্দশ মাস: তেমন কোনো কাজ নেই। সাইট ফলোআপ কন্টিনিউ করুন। আর্টিক্যাল আপডেট দেখুন। প্রোডাক্ট এভেইলেবিলিটি চেক শুরু করতে হবে সাইটে এফিলিয়েট লিংক বসানোর পরের সপ্তাহ থেকে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার চেক করতে হবে সবগুলো প্রোডাক্ট এভেইলেবল কিনা? তাছাড়া ষষ্ঠ মাস শেষে প্রোডাক্ট কোয়ালিটির উপর নজর দিতে হবে। আর নবম/দশম মাসে বিশেষ করে প্রথম ফলোআপের সময় দেখতে হবে র‌্যাংক যে হারে হয়েছে কীওয়ার্ড, সেই অনুপাতে সেল হয়েছে কিনা? যদি না হয়, তাহলে প্রোডাক্ট কোয়ালিটি এবং আর্টিক্যাল কোয়ালিটি চেক করাতে হবে এক্সপার্ট কাউকে দিয়ে। তবে আর্টিক্যালের ব্যাপারটা শুরুতেই শিউর হতে পারলে ভালো। কিন্তু প্রোডাক্ট কোয়ালিটি ঐ সময়েই চেক করতে হবে। প্রয়োজনে প্রোডাক্ট রিপ্লেস করতে হবে।
  • পঞ্চদশ মাস: আমার মনে হয়, উপরের সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই মাসে এসে আপনি মোটামুটি শিউর হয়ে যেতে পারবেন সাইটটা নেক্সট কতদিনের মধ্যে ফ্লিপ করতে পারবেন। তবে সাধারণত ১২ মাসের মাথায়ই সেটা শিউর হওয়া যায়। আমি তাই হই আমার সাইটের ক্ষেত্রে। আপনিও হতে পারবেন আশা করি যদি টাইমলাইনটা পারফেক্ট ওয়েতে করেন এবং ডেডিকেটেডলি ওভাবেই কাজ করে থাকেন।

ওভারঅল কথা

আমার মনে হয়, প্ল্যানিংয়ের ব্যাপারটা এই লেখায় আমি ক্লিয়ার করতে পেরেছি। এখন আপনার দায়িত্ব হচ্ছে- এক্সেল শীটে এই বিষয়গুলোর একটা লাইনআপ দাঁড়া করানো। আপনি এই লাইনআপটা মাসের হিসেবে করতে পারেন কিংবা ক্যাটাগরিওয়াইজড করতে পারেন। কিংবা দু’টো একত্র করেও করতে পারেন। এটা সম্পূর্ণই ডিপেন্ড করে আপনার উপর। আমি এখানে দু’টো একত্র করেই টাইমলাইনটা তৈরি করেছি।

কে কত সুন্দর ও সহজভাবে টাইমলাইনটা দাঁড়া করতে পারছেন সেটা থেকেই বোঝা যাবে আসলে আপনি কতটা বিষয় জানেন এবং সাকসেস হওয়ার জন্য আপনি কতটা ডেডিকেটেড। সো নিজেকে যাচাই করে নিন।

ভালো থাকুন, সুখে থাকুন। হ্যাপি এফিলিয়েট মার্কেটিং!

Leave a Comment