ভালো কনটেন্ট বা আর্টিক্যাল আর মন্দ কনটেন্ট বা আর্টিক্যাল চেনার উপায় কী?
সো নাউ দ্য বিগ কোশ্চেন ইজ: “হুয়াত ইজ গুট খনটেন্ট?”
গুগল ভাই “কনটেন্ট ইজ কিং” ছাড়া আর কিচ্ছু বুঝতে চাচ্ছেন না। লিজেন্ড থেকে শুরু করে আমার মতো ম্যান্দামার্কা নিউবি এফিলিয়েট মার্কেটাররাও বলতেছেন- ভালো কনটেন্ট ছাড়া গতি নাই।
তো এখন কথা হলো, ভালো কনটেন্ট কোনটা? আমি কেমনে বুঝবো- এইটা ভালো কনটেন্ট/আর্টিক্যাল আর ওইটা মন্দ?
উত্তর দিচ্ছি, আমার অভিজ্ঞতা থেকে। কিন্তু তার আগে একটা কথা বলে নিই, কেমন?
বাংলা ভাষার আধুনিকায়নে যে কয়েকজন ব্যক্তি কাজ করেছেন নিরলসভাবে তাদের একজন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর একটা লেখা আছে- রচনার শিল্পগুণ।
অর্থাৎ একটা লেখার মান নির্ণয় পদ্ধতি। মানে ঠিক কীভাবে বুঝবেন ঐ রচনাটা ভালো আর এইটা ভালো না সেই বিষয়ে।
বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর রচনার শিল্পগুণ লেখায় বলতেছেন- প্রত্যেকটা ভালো লেখা/রচনার দু’টো গুণ থাকবে। সেই দু’টো হলো:
১। ভাষা হবে প্রাঞ্জল : যাহা পড়িবামাত্রই বুঝিতে পারা যাইবে
২। কঠিন শব্দের প্রয়োগে ভাষাকে অর্থহীন করে তোলা যাবে না।
অর্থাৎ “মীন ক্ষোভানল কুবলয়ে” কওন যাইতো না। (ভালো কথা, এটার অর্থ জানেন কেউ?)। বলতে হবে সেটাই যা সাধারণ মানুষ সহজে বুঝতে পারেন।
এখন আসি আমাদের কনটেন্টের ব্যাপারে। কীভাবে ভালো কনটেন্ট চিনবেন?
প্রাসঙ্গিকক্রমে বলছি- শুধুমাত্র গ্রামাটিক্যাল এররহীন লেখা হলেই লেখা ভালো হওয়ার কোনা কারণ নেই। গ্রামারলি দিয়েই সেটা পারা যায়।
আর যারা কনটেন্ট লিখেন, তারা মূলত প্রায় সবাই-ই গ্রামার এররহীন-ই লেখেন।
তাহলে সবার লেখা ভালো নয় কেন?
কারণ হচ্ছে ঐ বঙ্কিমবাবুর কথাই।
লেখাটা প্রাঞ্জল নয়, এবং রাইটার যে কী কহিতে চাহিতেছেন আর কী বুঝাইতেছেন তাহা সাধারণ পাঠকের বোধগম্য নহে।
কঠিন ইংরেজি নয়, সহজবোধ্য এবং সাবলীল হতে হবে লেখা। অর্থাৎ যাহা পড়িবামাত্রই বুঝিতে পারা যাইবে। প্রাঞ্জল হবে।
আপনি ইংরেজিতে ভালো নাও হতে পারেন (আমার মতো)। কিন্তু তবুও আপনার রাইটার আপনাকে যা দিয়েছেন, তা পড়ে সহজেই যদি বুঝতে পারেন- ধরে নিন একটা ভালো লেখা পেয়েছেন। এবার প্রফেশনাল কাউকে দেখান গ্রামারের ব্যাপারে। একসেন্টের ব্যাপারে।
ব্যাস! হয়ে গেলো একটা অসাসাধারণ আর্টিক্যাল।
এখন আপনার সাইটের কনটেন্টগুলো চেক করে নিতে পারেন এই পদ্ধতিতে। আর নতুন আর্টিক্যাল দেখেও বুঝে নিতে পারবেন।
ও-হ্যাঁ, আরেকটা কথা এড করে নিচ্ছি- কথাটা সম্ভবত হাসনাতুজ্জামান ভাই বলেছেন: “একজন মোটামুটি মানের লেখক/রাইটারকে ভালোভাবে ইনস্ট্রাকশন দিয়েও ভালো মানের আর্টিক্যাল পাওয়া সম্ভব।”
এই কথাটা আমি সর্বোতভাবে পালন করি। এমনও গেছে- একটা আর্টিক্যালের ইনস্ট্রাকশন রেডি করার জন্য আমি ৩-৭ দিন ব্যয় করেছি। বাহুল্য নয়, কঠিন বাস্তব। ধরা খেয়ে খেয়ে শিক্ষা হয়ে গেছে যে!