আজকে কথা বলবো কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা নিয়ে। আশা করি আপনাদের কাজে লাগতে পারে। এগুলো সম্পূর্ণই আমার অভিজ্ঞতালব্ধ থেকে শেয়ার করলাম।
সুতরাং এগুলো মেনে নেয়া-নানেয়া সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার। তবে জানতে যেহেতু দোষ নেই, সুতরাং জেনে নিতে পারেন।
ওকে লেটস গো!
১. শুরুতে সাইটে সস্তা দামের আর্টিক্যাল দেয়া। পরে সাইট ভালো করতে থাকলে দামী আর্টিক্যাল দেবো। এরকম যাদের চিন্তা-চেতনা, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ধরা খাবেন নিশ্চিত। অন্তত আর্টিক্যালের ব্যাপারে নো-কম্প্রোমাইজ অপশনে থাকতে হবে। শুরুতেই যদি সাইটে থিন কনটেন্ট দেন, ঐ সাইট দিয়ে কেমন করে ভালো কিছু আশা করতে পারেন? ভুল, সবই ভুল!
২. কীওয়ার্ড রিসার্চের মিথ। সার্চ ভলিউম, কম্পিটিটর চেক ইত্যাদি নিয়ে লিজেন্ডরা কিছু মিথ তৈরি করে রেখেছেন। যেমন প্রোডাক্ট প্রাইস ৫০+ হতে হবে। তাই যদি হয়, তাহলে কি কমদামী প্রোডাক্ট আমাজনে সেল হয় না? ধরুন, ১০ ডলারের একটা প্রোডাক্ট #১ পজিশনে থাকলে মাসে ৫০০টাও বিক্রি হতে পারে। পারে না? তাহলে সেল ভলিউম কত হয় একবার ভাবেন তো!
আমি কাজ করছি ৩.৭০ ডলার দামের একটা প্রোডাক্ট নিয়ে। মাত্র একটা ব্যাকলিংক নিয়ে এই প্রোডাক্ট রেংক হয়ে আছে জিরো পজিশনে। সেল ভলিউম দেখে আমি নিজেই টাশকি খাই মাঝে মাঝে। এই আর্টিক্যালে থাকা বাকী প্রোডাক্টগুলোর দামও এরকমই। ম্যাক্সিমাম দাম ১৭ ডলারের মতো।
তারপর কম সার্চ ভলিউম নিয়ে কাজ করতে লিজেন্ডরা নিষেধ করেন। তারা মিনিমাম কত সার্চ ভলিউম নিয়ে কাজ করবেন, তার লিমিট দিয়ে দেন। আর ঐগুলো মেনেই আমরা নিউবিরা কাজ করার চেষ্টা করি। কিন্তু ভেবে দেখেন, যেই কীওয়ার্ডগুলো সার্চ ভলিউম কম, সেগুলো নিয়ে কি তাহলে কেউ কাজ করবে না? অথচ অবাক হয়ে যাবেন ঐগুলো নিয়ে কাজ করলে। ৫০ সার্চ ভলিউমের কীওয়ার্ড জিরো পজিশনে যাওয়ার পর মাসে ১০০+ প্রোডাক্ট সেল হয়। ভাবা যায়? কী বলবেন, একে?
প্রথম পেজে তিনটার বেশি ইকমার্স সাইট থাকলে ঐ কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা যাবে না আরেকটা মিথ। বিশ্বাস হয় না? পরীক্ষামূলকভাবে দুয়েকটা এরকম কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করে দেখেন। দেখবেন আপনার ধারণা কেমন পরিবর্তন হতে থাকে!
আর কি যেন লিখতে চাইছিলাম, ভুলে গেছি মাঝখানে একটা কল আসায়। স্যরি ভাই-ব্রাদার। নেক্সট আবারও লিখবো মনে পড়লে। আজকে এতোটুকুই থাকুক।